BREAKING NEWS. লকডাউনের জের , মাথায় হাত হুগলীর সিঙ্গুরের ছানা ব‍্যবসায়ীদের , নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রচুর পরিমানে দুধ-ছানা

26th March 2020 হুগলী
BREAKING NEWS. লকডাউনের জের , মাথায় হাত হুগলীর সিঙ্গুরের ছানা ব‍্যবসায়ীদের , নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রচুর পরিমানে দুধ-ছানা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : দেশ জুুুড়ে চলছে লকডাউন । সেই লকডাউনের জেরে দিশাহারা দুধ , ছানা ব‍্যবসায়ী রা । করোনা ভাইরাসের জেরে শনিবার থেকে বন্ধ কোলকাতার সমস্ত মিষ্টির দোকান। শুরু হয়েছে লকডাউন। ফলে মাথায় হাত হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখার শক্তিগড় থেকে বারুুইপাড়া রেল স্টেশন পর্যন্ত আশপাশের সমস্ত ছানা প্রস্তুতকারীরা। প্রতিদিন লিটার লিটার দুধ ফেলে দিচ্ছে ড্রেনে। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধূসুদনপুর, বেরাবেড়ি, খাসেরভেঁড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ৬০০০ জন রয়েছে দুধ ও ছানা ব্যাবসায়ী। প্রতিদিন গড়ে এক লক্ষ লিটার দুধের ৫০০০ কেজি ছানা তৈরি করে ট্রেনে করে যায় কোলকাতায়। প্রায় দশ হাজার গরু ও মোষ রয়েছে এই গ্রামগুলিতে। ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি লোন নিয়ে গরু কিনে চলে সংসার। প্রতিটি গরুর খাওয়া খরচ বাবদ খরচ হয় ৪০০/-টাকা। গত ছয়দিন ধরে ছানা রপ্তানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন দুধ নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন দুধ বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে দুধ না কেনায় সমস্যায় পড়েছে তারা। করোনা আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে গবাদি পশুর খড়, ভূষি, ছোলার খোলার দামে কালোবাজারির অভিযোগ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। গত তিনদিন আগে ৫০ কেজি ভূষির দাম ছিল ১১০০ /- টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১৪০০ /- টাকা হয়েছে। ছোলার খোলার দাম ছিল কেজি প্রতি ২৬ /- টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ৩০ /- টাকা। প্রতিদিন একটি  গবাদি পশুর জন্য যে খরচ পড়ে, তা থেকে দুধ ও ছানা তৈরি করে উপার্জন করে তারা। কিন্তু গত দুদিন ধরে দুধ ও ছানা রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মাদার ডেয়ারি সহ অনান্য দুগ্ধজাত সংস্হা তাঁদের উৎপন্ন দুধ কেনার ব্যাবস্হা করুক। নচেৎ সংসারের টাকা খরচ করে গবাদি পশুদের বাঁচিয়ে রাখা যাবেনা। সমস্যার বিষয়টি নিয়ে বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ওয়াকীবহাল রয়েছে। প্রধানের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্যার বিষয়টি হস্তক্ষেপ করুক।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।